01 Mar 2025, 09:09 am

জাতিসংঘে সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামের ১৭তম অধিবেশন ইন্টারেক্টিভ ডায়ালগে বাংলাদেশের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক জাতিসংঘের প্যালাইস ডেস নেশনসে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামের ১৭তম অধিবেশন ইন্টারেক্টিভ ডায়ালগে বাংলাদেশ একটি বিবৃতি প্রদান করেছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে এখানে প্রাপ্ত পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এখবর জানা যায়।

নিচে বিবৃতিটির বাসসকৃত বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো:

সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামের ১৭তম অধিবেশন ইন্টারেক্টিভ ডায়ালগে বাংলাদেশের বিবৃতি :

ম্যাডাম চেয়ার,

বাংলাদেশ আবারও নিশ্চিত করছে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্ম পালন করার বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে।  সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মূল ভিত্তি।  এটি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের বারবার আশ্বস্ত করেছে এবং সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বারবার প্রমাণ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পরের সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। এই সহিংসতা জনগণকে প্রভাবিত করেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে, তাদের প্রায় সকলেই মুসলিম, কেবল মুষ্টিমেয় কিছু অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর।

সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো পরিকল্পিত হামলা হয়নি।  বরং জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ব দেখেছে কীভাবে আমাদের দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অনুসরণ করে বাংলাদেশের সমগ্র সমাজ তার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন আমাদের সরকার সকল ধর্মের মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক এবং অভূতপূর্ব ম্যান্ডেট উপভোগ করে।

দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছিল, তখন আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট  প্রতিবেদন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি লক্ষ্য করছি।  দুঃখের বিষয়, আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি।  এ ধরনের অনেক অপপ্রচারকে বৈশ্বিক গণমাধ্যমে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।  আমাদের সরকার সরেজমিন পরিস্থিতি দেখতে বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানাতে উন্মুক্ত রয়েছে।

আমরা অত্যন্ত হতাশার সাথে লক্ষ্য করছি যে শ্রী চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কিছু বক্তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তাকে আসলে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে বিচার করা হচ্ছে। একজন মুসলিম আইনজীবীর সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ড সত্ত্বেও আমাদের সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সকল ধর্মের নেতাদের সমর্থন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাহায্য করেছে।

আমাদের সরকার সজাগ রয়েছে এবং যেকোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে অবিলম্বে কাজ করে যাবে।

ম্যাডাম চেয়ার, আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ